৩৪ ম্যাচে ২৫ জয় ও ৬ ড্রয়ে রিয়ালের পয়েন্ট হলো ৮১। চার ম্যাচ বাকি থাকতে শিরোপা জিতে নিল রিয়াল। সমান ম্যাচে ৬৪ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে আছে সেভিয়া। এক ম্যাচ কম খেলা বার্সেলোনা ৬৩ পয়েন্ট নিয়ে আছে তিনে। সমান ম্যাচে ৬১ পয়েন্ট নিয়ে চারে গতবারের চ্যাম্পিয়ন আতলেতিকো মাদ্রিদ।
বেনজেমা ও ভিনিসিউস জুনিয়রকে ছাড়া খেলতে নামা রিয়াল নিজেদের গুছিয়ে নিতে শুরুতে একটু সময় নেয়। আসরে দুই দলের প্রথম দেখায় ২-১ ব্যবধানে জেতা এস্পানিওল খেলে আক্রমণাত্মক ফুটবল।
প্রথম ভালো সুযোগ অবশ্য পায় রিয়ালই। ত্রয়োদশ মিনিটে কর্নারে কাসেমিরোর হেডে গোলমুখে বল পেয়ে যান মারিয়ানো দিয়াস। তার চেষ্টা ব্যর্থ হয় পোস্টে লেগে।
২১তম মিনিটে রাউল দে তমাসের শট ফিরিয়ে দেন রিয়াল গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া। পরের মিনিটে লুকা মদ্রিচের চিপে পেনাল্টি স্পটের কাছ থেকে হেড লক্ষ্যে রাখতে পারেননি মারিয়ানো।
প্রথম আধ ঘণ্টায় বল দখল ও গোলের লক্ষ্যে শটে এগিয়ে ছিল এস্পানিওল। তবে নিজেদের গুছিয়ে নেওয়ার পর তাদের চেপে ধরে রিয়াল।
৩৩তম মিনিটে রদ্রিগোর চমৎকার ফিনিশিংয়ে এগিয়ে যায় তারা। মার্সেলোকে বল বাড়িয়ে এগিয়ে যান তরুণ উইঙ্গার। ফিরতি পাস পেয়ে ডি-বক্সের মুখ থেকে দূরের পোস্ট দিয়ে জাল খুঁজে নেন তিনি।
৪৩তম মিনিটে ব্যবধান ২-০ করেন রদ্রিগো। নিজেদের অর্ধে বল দখলের লড়াইয়ে মারিয়ানোর কাছে হেরে যান সের্হি গোমেস। আলগা বল পেয়ে এগিয়ে যান রদ্রিগো। ডি-বক্সে ঢুকে কাছের পোস্ট দিয়ে বল পাঠান জালে। কিছুই করার ছিল না গোলরক্ষকের।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে রিয়ালকে চেপে ধরে এস্পানিওল। দে তমাসের ফ্রি কিক পোস্ট ঘেঁষে বাইরে যায়। ৪৮তম মিনিটে বল বিপদমুক্ত করার চেষ্টায় জালেই পাঠিয়ে দিচ্ছিলেন মারিয়ানো। ভাগ্য ভালো তার, বল যায় ক্রসবারের উপর দিয়ে।
প্রতি-আক্রমণ থেকে ৫৪তম মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়ান আসেনসিও। নিজেদের অর্ধ থেকে বল নিয়ে দ্রুত গতিতে এগিয়ে যান এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা। ডানদিকে তিনি খুঁজে নেন অরক্ষিত আসেনসিওকে। এই ম্যাচে রিয়ালকে নেতৃত্ব দেওয়া স্প্যানিশ ফরোয়ার্ডের শট দূরের পোস্টের ভেতর দিকে লেগে জড়ায় জালে।
পাঠকের মতামত: